তিন সন্তানের জননী কুষ্টিয়ার খোকসার মাস্টার পাড়ার স্কুল শিক্ষক রূপালী ঘোষ। তাঁর তিন সন্তান পড়ছে একাদশ, চতুর্থ ও প্রথম শ্রেণিতে। দুই মেয়ে এক ছেলের পড়াশোনার পেছনে মাসের উপার্জনের বড় অংশ যায়। তিনি জানালেন, “একসাথে বেশি খাতা ও কলম কিনলে কিছু টাকা বাঁচতো। কিন্তু কাগজের দাম এখন প্রতি দিস্তায় বেড়ে গেছে। কলমের দামও বেড়েছে। লেখা-পড়ার কাজে ফটোকপি করতে হয়, সেটাও বেড়েছে।”
এক ব্যবসায়ী জানালেন, সব কিছুর দাম বাড়ায় একার উপার্জনে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাঁর ভাষায় “বাজারে দাম বাড়ে নাই এমন জিনিস খুব কমই খুঁজে পাবেন, কিন্তু আমার ইনকাম বাড়ছে না। অনেক কৌশলে সংসার চালাতে হচ্ছে।”
শিক্ষা উপকরণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাবতে হচ্ছে এই অভিভাবকের। কান্তি সরকার নামের এই অভিভাবক বলেন, “শুনতে মনে হচ্ছে কম বেড়েছে। কিন্তু বাসা ভাড়া, প্রাইভেট, দ্রব্যমূল্য-সব যেভাবে বাড়ছে তাতে সংসার চালিয়ে সন্তানদের লেখা পড়া চালাতে বেগ পোহাতে হচ্ছে।”
বিক্রেতারা বলছেন, মহামারি কাটিয়ে গত সেপ্টেম্বরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পর থেকেই কাগজসহ অনান্য শিক্ষা উপকরণের দাম বেড়েছে। মে মাসে আরেক দফা দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে বাজারে। দাম বৃদ্ধি পেলেও কিছু কিছু শিক্ষা উপকরণ এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। আর যে সব পণ্য নতুন আসছে সব কিছুর দাম বেড়েছে। সহায়ক বই আসছে বাড়তি দামে।
খোকসা বাজারে বই ঘর এর স্বত্বাধিকারী ইব্রাহীম বেগ জানান, কলম ডজনে বেড়েছে ৫ থেকে ৬ টাকা, কাগজ রিম প্রতি বেড়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, সাইন্টিফিক ক্যালকুলেটর প্রতি পিচে বেড়েছে প্রায় ১০০ টাকা, প্রতিটি জ্যামিতি বক্সে বেড়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকা, ব্যবহারিক খাতার দাম বেড়েছে প্রতি খাতায় ২০ থেকে ৩০ টাকা।