কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার ৭ম শ্রেণির এক স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী ডালিয়া খাতুন (১৩) কে তার প্রেমিক শাকিল রাতে ফোন করে ডেকে নিয়ে গিয়ে সেভেন-আপের বোতলে করে (সেভেন আপ বলে বিষ পান করিয়ে দেয়) বিষ পান করিয়ে দেয়।
শুক্রবার (৭ আগস্ট) দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয় ।
ডালিয়া হালসা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনির শিক্ষার্থী । সে কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার আমবাড়িয়া ইউনিয়নের সুখপুকুরিয়া গ্রামের ডালিম হোসেনের মেয়ে।
ঘাতক প্রেমিক শাকিল কুষ্টিয়া ইবি থানার পাটিকাবাড়ি ইউনিয়নের খেজুরতলা (ওয়াপদা) গ্রামের রবিউলের ছেলে।
ঘটনায় জানা যায় ,শাকিল ও ডালিয়ার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে । বিষয়টি পরিবারে জানাজানি হলে নিহতের ডালিয়ার পরিবার ঘাতক শাকিল ও তার খালাত দুলাভাই মাহফুজ হোসেনকে নিষেধ করে দেয় তার যেন তার মেয়ের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক বা দেখা ও কথা না বলে। মাহফুজ প্রেমিক শাকিল এর খালাত দুলাভাই । পরিবারের লোকজন ধারণা করছে প্রতিশোধ হিসেবে শাকিল সেভেন আপ বলে বিষ পান করিয়ে দেয় ডালিয়াকে।
জানা যায়, ঈদের পরের দিন রবিবার ঘাতক প্রেমিক শাকিল তার খালাত দুলাভাই মাহফুজের বাড়িতে আসে। এরপর নিহত ডালিয়া খাতুনকে মোবাইলে ফোন দিয়ে রাত আনুমানিক ১০টার দিকে ক্যানালের দিকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর কৌশলে সেভেন আপের বোতলে রাখা বিষ সেভেন আপ বলে ডালিয়া খাতুনকে পান করায়। এসময় ডালিয়ার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তার অবস্থার অবনতি হলে গত ৬ আগস্ট কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের ডাক্তাররা তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (৭ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ডালিয়া খাতুনের বড় চাচা হামিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মিরপুর থানায় ৬ আগস্ট একটি হত্যার প্রচেষ্টার মামলা দায়ের করে। মামলায় শাকিলকে প্রধান ও খালাত দুলাভাই মাহফুজ হোসেনসহ মোট ৫জনকে আসামী করা হয়।
এ ব্যাপারে মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, গতকাল এই ঘটনায় হত্যা প্রচেষ্টার একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।এই স্কুল ছাত্রী নিহতের ঘটনায় ৩০২ ধারা সংযুক্ত করা হবে। আসামী গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।