পুলক সরকারঃ
কুষ্টিয়ার সড়ক-মহাসড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তিন চাকার ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, ট্রাক্টর-ট্রলি, নসিমন-করিমন ও ভটভটি এতে প্রায়ই ঘটছে ছোটবড় দুর্ঘটনা। প্রশাসনের নিস্ক্রিয়তায় সড়কে দৌরাত্ম্য বাড়ছে এসব যানের।
প্রশাসন বলছে মাঝেমধ্যেই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে তবুও বন্ধ হচ্ছে না অবৈধ যানগুলো। আর ভটভটি চালকদের ভাষ্য, সড়কে চাঁদা দিয়ে চলছেন তারা। অপরদিকে এলাকাবাসীসহ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন পরিবহন চালক, যাত্রী ও পথচারীরা। প্রাণ হারাচ্ছে শিশু থেকে বৃদ্ধ বয়স্ক মানুষ।
সরেজমিনে জেলার উপজেলাগুলোর বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সড়কে-মহাসড়কে ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলাচল করছে নছিমন-করিমন। বহন করছে বালি, মাটি ও পণ্য। কিন্তু এসব যানবাহনের বিরুদ্ধে কোন আইন প্রয়োগ করছেনা সংশ্লিষ্টরা।
অপরদিকে উপজেলাগুলোর বিভিন্ন ইটভাটায় মাটি পরিবহনের কাজে নিয়োজিত যান থেকে মাটি পরে আঞ্চলিক মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়কের ক্ষতি হচ্ছে। এ ছাড়া বৃষ্টিতে সড়ক কর্দমাক্ত ও পিচ্ছিল হয়ে মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, বালু বহনকারী বেপরোয়া যান চলাচলে ধুলো-বালি উড়ে রাস্তার দু’পাশের ঘর-বাড়িতে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। অপরদিকে হুমকিতে জনস্বাস্থ্য।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খোকসা উপজেলার আঞ্চলিক সড়ক একতারপুর সড়ক, বিলজানি সড়ক বেতবাড়িয়া সড়ক, হিলালপুর সড়কসহ বিভিন্ন সংযোগ সড়ক ও কুমারখালী উপজেলার, জয়বাংলা-পান্টি, শিলাইদহ কুঠিবাড়ি সংলগ্ন আঞ্চলিক সড়কে এবং কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এসব অবৈধ যানবাহন।
ভটভটি চালকদের ভাষ্য, ভটভটি থেকে বিপুল পরিমাণ চাঁদা আদায় হয়। বিভিন্ন পয়েন্টে অন্তত ২০ টাকা করে দিতে হয় তাদের। চাঁদা পরিশোধের পর তাদের দেয়া হয় রশিদ। ওই রশিদ দেখলে ওই দিনের জন্য ছাড় দেয় ওই স্পটে। হয়রানি এড়াতে বাধ্য হয়ে চাঁদা দিচ্ছেন অবৈধ যানের চালকরা।
কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী মহাসড়কে ট্রাক চালক সত্যেন কুমার মন্ডল। তিনি বলেন, সড়কে সব সময়ই অবৈধ যানবাহন চলাচল করে। ফলে আমারা নির্বিঘ্নে গাড়ি চালাতে পারি না। আবার দুর্ঘটনা ঘটলে অবৈধ যানবাহনের চেয়ে বাস অথবা ট্রাক চালকের ওপরেই দায় বেশি আসে। আবার হামলা চালিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয় বাস অথবা ট্রাকটিকে।