পুলক সরকারঃ
শীতল হওয়া বইছে ভোর ও রাতে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার একটু আগেই শীতের আমেজ শুরু হয়ে গেছে। কয়েকদিন ধরে বিকেল থেকে শুরু করে রাতেও কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রা । ফলে শীত অনুভব হচ্ছে। হঠাৎ শীত বেড়ে যাওয়ায় কদর বেড়েছে গরম পোশাকের। মানুষের চাহিদা অনুযায়ী মার্কেট ছাড়াও রাস্তার পাশে বসেছে গরম পোশাকের ভাসমান দোকান।
মঙ্গলবার কুষ্টিয়ার খোকসায় দেখা গেছে অধিকাংশ মানুষ ভিড় করছে ফুটপাতের দোকানের উপর। শীতের প্রস্তুতি হিসাবে কিনছেন গরম পোশাক। এর মধ্যে রয়েছে সোয়েটার, কম্বল, জ্যাকেট, মোজা, মাফলার, কানটুপি ইত্যাদি। ক্রেতাদের অনেকেই পাতলা ও ফ্যাশনেবল গরম পোশাকের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছেন। কেউ কিনছেন নিজের জন্য কেউবা পরিবার-পরিজনদের জন্য। এসব দোকানে গরম কাপড় বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ৩৫০ টাকার মধ্যে। দাম কম হওয়ার কারণেই এইসব দোকানে মানুষের ভিড় বেশি বলে জানান ক্রেতা ও বিক্রেতারা।
মার্কেটের তুলনায় দাম কম হওয়ায় নিম্ন আর মধ্যবিত্ত পরিবারের অনেকেই ভিড় করছেন ফুটপাতে। মার্কেট থেকে ফুটপাতে সবধরনের শীতের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে।
অধিকাংশ কাপড়ের দোকানেই এখন শার্ট, টি-শার্টের স্থান দখল করেছে দেশি-বিদেশি কম্বল, জ্যাকেট, ব্লেজার, ফুলহাতা জামা, স্যুয়েটার ও আমদানি করা কাঁথা।
দাম, মান আর দোকান ভেদে বিভিন্ন ধরনের গরম কাপড় পাওয়া যাচ্ছে খোকসা পৌর মার্কেটের দোকানগুলোতে। বিশেষ করে ফুটপাতের ভাসমান দোকানগুলোতে এসব কাপড় বিক্রি হচ্ছে খুব বেশি।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, চলতি বছর শীতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন থাকায় এবার ব্যবসা ভালো হবে। কারণ গ্রাম থেকে শহরে নিজ নিজ দলের প্রার্থীর জন্য দিনরাত নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত থাকবে অধিকাংশ মানুষ। আর বেশিরভাগ সময় ঘরের বাইরে থাকতে হবে। সেই জন্য শীতের প্রস্তুতি হিসাবে কিনছেন গরম পোশাক।
খোকসার ফুটপাতে গরম পোশাক বিক্রেতা রাশেদ বলেন, কয়েকদিন ধরে বেচাকেনা কিছুটা বেড়েছে। তবে আজ তা বেড়ে কয়েকগুন দাঁড়িয়েছে। শীতের তীব্রতা বাড়ার কারণে বেচাকেনার অবস্থাও ভালো।
গরম পোশাক কিনতে আসা কয়েকজন নারী বলেন,আমরা গরীব । তাই বেশি দামের পোশাক কেনার সাধ্য নাই। যার কারণে ফুটপাতে দাঁড়িয়ে ৮০ টাকায় বাচ্চার জন্য শীতের কাপড় কিনেছি।