কুষ্টিয়ার ঝাউদিয়া বাজার সংলগ্ন কুমার নদী দখল করে রাতের আধারে দোকান নির্মাণ ।
কুষ্টিয়া জেলার সদর উপজেলার ঝাউদিয়া বাজার সংলগ্ন স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্প ও পাটকাঠি হাটের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কুমার নদীর উপরে রাতের আধারে দোকান নির্মাণের হিড়িক পড়েছে।
স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পের অপর দিকে রাতের দোকান নির্মাণের জন্য একটি চক্র তিনটি সরকারি বাবলা কাছ কেটেছে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পরে অনুসন্ধানে যানা যায়, স্থানীয় ইউপি সদস্য নুর ইসলাম এই সরকারি খাস খতিয়ানের জমি অপর মেম্বরের নিকট ৬ লাখ টাকায় বিক্রি করেছে। সেখানে দোকান ঘর নির্মানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ওই নুর ইসলাম মেম্বর। কাশিনাথপুর গ্রামের মজিবার শাহর আশরাফ ও মিজানুর দুইটি দোকান নির্মান করেছে। পাশেই গঞ্জের আলি একটি দোকান নির্মান করেছে এমনই দেখা গেছে সরেজমিনে।
আহাদ আলীর ছেলে হায়দার আলী একটি দোকান নির্মাণ করেছে। রহমত মন্ডলের ছেলে বরকত একটি। ছয়ফল মন্ডলের ছেলে মিরাজুল একটি। গঞ্জের আলী একটি। জহুরুল মন্ডল দুইটি। শহিদুজ্জামান দু’টি সহ প্রায় ২৫টি দোকান ঘর নির্মাণ করেছে। এই দোকান নির্মাণকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এব্যপারে নুর ইসলাম (মেম্বর) জানান, আমি এক বছর আগে সরকারের কাছে থেকে লিজ কেটেছি ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মজিদ মেম্বরের নিকট ৬ লাখ টাকায় বিক্রয় করেছি। সকলেই এখানে এভাবে পজিশন বিক্রি করেছে। আমিও তাই করছি।
এব্যপারে মেম্বর আব্দুল মজিদ জানান, নুর ইসলাম ওরফে কাটু মেম্বার আমার কাছ থেকে এই জমির দাম বাবদ ৬ লাখ টাকা নিয়েছি। তিনি আমার কাছে বিক্রি করেছে। আমার কাছে কাগজপত্র রয়েছে এবং এখানে আমার দোকান ঘর নির্মান করে দেওয়ার আশ্বাস প্রদান করে।
এব্যপারে ঝাউদিয়া ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা জাহিদ জানান, আমি গতকাল যোগদান করেছি। এব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারছি না।