কুষ্টিয়ায় ভাবীর ষড়যন্ত্রের শিকার দুই দেবর ।
মতিয়ার রহমানঃ
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের চর জগন্নাথপুর গ্রামের প্রবাসী বড় ভাইয়ের স্ত্রীর ষড়যন্ত্রের শিকারে নিঃস্ব হতে বসেছে দুই দেবর। তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসীচক্র লেলিয়ে দিয়ে ভিটা ছাড়া করার প্রচেষ্টা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী ইউনুস আলী ও গ্রাম্য ডাক্তার সজিব হোসেন জানান, গত ১৫ জানুয়ারী সকালে তার বড় ভাবী জোসনা খাতুন বাহামন্ডল, শাহামন্ডল, আমির সোহেল, রফিক, তার ভাবীর বাবা মলো বিশ্বাস, ভাই আকরাম, শুকুর, সবুজ ও আকরামের জামাই সোলায়মানদের সাথে করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাদের উপর হামলা করে। এ সময় তারা দুই ভাই ছাড়াও তাদের আরেক ভাই কামাল, চাচা আত্তাপউদ্দিন মোল্লা, চাচাত ভাই গাফ্ফার মন্ডল ও মজিবর মন্ডল ঘটনাস্থলে থাকাকালীন তার ভাবীর ভাড়াটিয়া গুন্ডা ও আত্মীয়দের দ্বারা আক্রান্ত হন। এসময় কামালের স্ত্রী সোনিয়া খাতুন ও সজিব আহত হন।
পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে কুমারখালী থানায় গেলে চর জগন্নাথপুরের রশিদ মন্ডল স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলতে বলেন। তারা থানায় অভিযোগ না দিলেও তার ভাবী থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে।
জানা যায় স্থানীয় ভাবে ও থানায় দুইবার বসে মিমাংসার চেষ্টা করা হলে তার ভাবী হাজির হননি।
ইউনুস আলী আরও জানান তারা বর্তমান ৮ জন অংশীদার জগন্নাথপুর মৌজার আরএস ৯৩৯ নং দাগের ১ একর ৪২ শতাংশ জমির রেকর্ডীয় মালিক মাহাতাব উদ্দিন ও নিজামউদ্দিনের নিকট থেকে ১৯৮৯ সালে ২০৯৯ নং দলিলে ৪১ শতাংশ, ১৯৯৮ সালে ২১১৭ নং দলিলে ২৬ শতাংশ এবং অপর রেকর্ডীয় মালিক লোকমান মোল্লার নিকট থেকে ১৯৯০ সালে ৩৯ শতাংশসহ মোট ১ একর ৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে উত্তর অংশে দখল বুঝে নিয়ে যথাক্রমে নিজেদের মধ্যে মৌখিক এওয়াজের মাধ্যমে বসতবাড়ি ও দোকানঘর নির্মাণ করে ভোগদখল করে আসছেন এবং রেকর্ডীয় মালিকদের উত্তরসূরী আফতাব উদ্দিন মোল্লা এই দাগের দক্ষিণ অংশে ৩৫ শতাংশ সম্পত্তি ভোগদখল করছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই তারা জানতে পারেন আফতাব উদ্দিন মোল্লা ২০২০ সালের শেষের দিকে তার ভাবী জোসনা খাতুনের নিকট তাদের বসবাসরত উত্তর অংশের কামাল মন্ডলের বসতবাড়ির অংশে হাতনকশায় দলিল প্রস্তুত করে কুমারখালী সাব রেজিস্ট্রার অফিসের মাধ্যমে ২৫ শতাংশ জমি বিক্রি করেন। বিক্রির পর থেকেই জোসনা খাতুন বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করছেন। উদ্দেশ্য তাদেরকে উচ্ছেদ করা।
তিনি আরও বলেন আমরা ৩০ বছর যাবত বসবাস করছি উওর অংশে হটাৎ করেই আমাদের নিঃস্ব করার জন্য আফতাব মোল্লা তার ভাবী প্রভাবশালী জোসনা খাতুনের নিকট তাদের বসতবাড়ি উল্লেখ করে জমি বিক্রি করে দিয়েছেন। অথচ দক্ষিণ অংশে তার ৩৫ শতাংশ জমি রয়েছে।