কুষ্টিয়ায় কুমারখালীর কয়া মহাবিদ্যালয়ে স্থাপিত ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের নেতা বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (১৭’ডিসেম্বর) রাতের কোন এক সময় বাঘা যতীনের ভাস্কর্যের নাক ও ডান গালের কিছু অংশ ভেঙে ফেলেছে দূর্বত্তরা ।
শুক্রবার (১৮’ডিসেম্বর) সকালে বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হলে এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। ইতিমধ্যেই দোষীদের খুঁজে বের করতে অভিযানে নেমেছে পুলিশ।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুল ইসলাম আতিক জানান, বিষয়টি জানার পর পরিদর্শনের জন্য পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গেছে। কারা এ ঘটনা্র সাথে জড়িত তা খুঁজে বের করতে কাজ করছে পুলিশ।
বাঘা যতীন ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী। তিনি ঝিনাইদহ জেলার অধিবাসী ছিলেন। কোন অস্ত্রের সাহায্য ছাড়াই খালি হাতে বাঘ হত্যা করার পর তাকে বাঘা যতীন নামে অভিহিত করা হয়। তিনি ছিলেন বাংলার প্রধান বিপ্লবী সংগঠন ‘যুগান্তর দলে’র প্রধান নেতা।
ইংরেজ ঔপনিবেশিক শাসকদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র সংগ্রাম করেছেন তিনি । যাদের আত্মদান ইংরেজ শাসকদের বুকে কাঁপন ধরিয়েছে । তাদের অন্যতম বিপ্লবী যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। মাত্র ৩৬ বছর বয়সে ১৯১৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ইংরেজ বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে নিহত হন বিপ্লবী বাঘা যতীন। দেশমাতৃকার প্রতি গভীর ভালোবাসা ও দায়বদ্ধতা, অপরিসীম সাহস ও শৌর্যবীর্য তাকে অগ্নিযুগের বিপ্লবীদের প্রথম সারিতে স্থান দিয়েছে।
এর আগে, গত শুক্রবার (০৪’ডিসেম্বর)রাতের আঁধারে কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। এসময় ভাস্কর্যের মুখ ও হাতের অংশ ভেঙে ফেলা হয়। পরে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চার জনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। সেদিনই ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনায় কুষ্টিয়া পৌরসভার সচিব কামাল উদ্দিন মামলা দায়ের করেন।