কুষ্টিয়ার কুমারখালী আসন্ন পৌর নির্বাচন কে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান পৌর মেয়র সামছুজ্জামান অরুণ।
জানা যায় ,১৮৬৯ সালের প্রতিষ্ঠিত প্রথম শ্রেণীর কুমারখালী পৌর সভার ১৮ হাজার ৯ শত ৮৯ জন, মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ হাজার ৩ শত ৭ জন, মহিলা ভোটার ৯ হাজার ৬ শত ৮২ জন।
কুমারখালীর বর্তমান পৌর মেয়র সামসুজ্জামান অরুণ বলেন, গত- ২৩/৩/১৯৯৯ ইং তারিখ থেকে ২৮/৫/২০০৪ প্রথম মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হই । ১ম নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ শুরু করেছি । আমার লক্ষ্য ছিল কুমারখালী পৌরসভা একটি মডেল পৌরসভা হিসেবে দেখানো। ৮/২/২০১১ ইং তারিখ থেকে পৌর এলাকার উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড করে আসছি। এর পরে আবার ১/২/২০১৬ তারিখে নির্বাচিত হয়ে জয় লাভ করে চলমান রয়েছে উন্নয়ন কাজ। আমি তিন বার আওয়ামীলীগ প্রার্থী হিসেবে জয় লাভ করেছি । এখন পর্যন্ত কুমারখালী পৌরসভার উন্নয়ন এর ধারা অব্যাহত রয়েছে। যেমন রাস্তাঘাট নির্মান, বিদ্যুৎ, জলাবদ্ধতা, সোলার লাইট বসানো, ইকো পার্ক নির্মান, পৌর এলাকা সৌন্দর্যবর্ধন, আরও ইত্যাদি কাজে আনুমানিক ৫০ কোটি টাকার কাজ ইতি মধ্যে বাস্তবায়ন করেছি। করোনা মহামারী মধ্যে কুমারখালী পৌর এলাকার অসহায় দুস্থ মানুষের সঙ্গে থেকে কাজ করেছি। অনেকেই যখন ঘর বন্দি- আমি এবং আমার ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ আমার নেতা কর্মীরা সর্বক্ষণ মানুষের সাহায্য করেছি। এবারও আমাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামীলীগের প্রার্থী করেবেন বলে আশা করছি।
তিনি আরও আবার যদি আমি মেয়র হতে পারি এবার আমার নির্বাচনে ইস্তেহার হবে কুমারখালী পৌর হবে যানযট মুক্ত শহর , মাষ্টার প্লান করে বাইপাস সড়ক তৈরি করব জলাবদ্ধতা দূরীকরণ বিশেষ ব্যবস্থা করব। পৌর এলাকার হবে পরিস্কার -পরিচ্ছন্ন, থাকবে মাদক মুক্ত।
উল্লেখ্য,ইতিমধ্যে কুমারখালী পৌর নির্বাচন উপলক্ষে পৌর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের প্রতিটি কমিটি ইতিমধ্যে শামসুজ্জামান অরুন কে সমর্থন জানিয়েছেন। উঠান বৈঠক, বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে যোগ দিয়ে নৌকায় ভোট চাচ্ছেন তিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সামছুজ্জামান অরুণ আরও বলেন, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা বংশ পরম্পরায় এবং ছাত্রজীবন থেকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে রাজনীতি করে আসছি। আমার বাবা শহীদ গোলাম কিবরিয়া বঙ্গবন্ধুর আমলে একজন সংসদ সদস্য ছিলেন, আমার বড় ভাই মিয়া ভাই খ্যাত জনপ্রিয় নেতা মৃত আবুল হোসেন তরুণ তিনিও একজন আওয়ামী লীগের এমপি ছিলেন,আমার বড় ভাই স্ত্রী বেগম সুলতানা তরুণ সেও একজন আওয়ামীলীগের এমপি ছিলেন।
আওয়ামীলীগ একটি দেশপ্রেমিক দল, দেশের উন্নয়ন ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সরকারের অবদান অপরিসীম। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল। এক্ষেত্রে আমি মনোনয়ন প্রত্যাশী এবং মনোনয়ন আশাবাদী ।
দেশ আজ উন্নয়নের দ্বারপ্রান্তে। বিশ্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের একটি রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ দেশের গণ্ডি পেড়িয়ে বিদেশে বাঙালি জাতি মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর অধিকার প্রতিষ্ঠায় সামনে এগিয়ে চলেছে। দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী পরিবারের সঙ্গে যুক্ত থেকে দেশের মঙ্গলজনক কাজে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করে চলেছি।
প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার দেখানো পথে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প অংশগ্রহণ করেছি। আশা করছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ রাজনীতির কথা বিবেচনা করে আসন্ন কুমারখালী পৌর নির্বাচনে আমাকে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রদান করবেন।
জানা যায় ,১৮৬৯ সালের প্রতিষ্ঠিত প্রথম শ্রেণীর কুমারখালী পৌর সভার ১৮ হাজার ৯ শত ৮৯ জন, মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ হাজার ৩ শত ৭ জন, মহিলা ভোটার ৯ হাজার ৬ শত ৮২ জন।