কুষ্টিয়ায় রবিবার (১৮’অক্টোবর) শহরতলির বটতৈল ভাটাপাড়ায় এক মাদকসেবকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় অতর্কিত হামলায় গৃহবধুসহ ৫ জন মারাত্মক আহত হয়েছে।
আহতদের মধ্যে মোঃ আতিয়ার রহমান ও তার ছেলে জীবনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায় ওই এলাকার আব্দুস সাত্তার শেখের ছেলে মাদকসেবী জুয়েল দীর্ঘদিন থেকে ওই এলাকার মৃত আবদুল আজিজের ছেলে আতিয়ারের স্ত্রীকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এছাড়াও সে বিভিন্ন সময় আতিয়ার এর বাড়িতে প্রবেশ করে মাতাল অবস্থায় ঘরের দরজায় নক করে জানালা দরজায় উকি দিয়ে অসামাজিক কর্মকান্ড করে আসছিল।
এ ঘটনাটি নিয়ে আতিয়ার ও তার পরিবার ইতিপূর্বে স্থানীয় মেম্বার জামাল ও লম্পট জুয়েলের পরিবারকে অবহিত করেন। ওই সময় জুয়েলের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পেয়ে গত এক মাস আগে জুয়েলকে ওই বাড়িতে হাতেনাতে ধরে জুয়েলের পরিবার মারধর করে জুয়েলকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। এসময় তারা আতিয়ার ও তার পরিবারকে বলে যায়, পরবর্তীতে এমন কর্ম করলে জুয়েলকে বেঁধে রেখে সংবাদ দিতে বলে। এরই এক পর্যায়ে গত ১৭ অক্টোবর রাত ১২ দিকে জুয়েল আবারোও মদ্যপান অবস্থায় ওই বাড়িতে প্রবেশ করে মাতলামি করতে থাকেন।
এসময় আতিয়ার ও তার বাড়ির লোকজন জুয়েলকে আটক করে স্থানীয় মেম্বার জামাল ও জুয়েলের পরিবারকেও সংবাদ দেয়। এ সংবাদ পেয়ে জুয়েলের পিতা আব্দুস সাত্তার শেখ ও তার ছেলে রুবেল (৩৬), আফতাবের ছেলে শামীম( ৪০), চাঁদ মিয়ার ছেলে ইলিয়াস( ১৮), শামীমের স্ত্রী শামীমা, রুবেলের স্ত্রী নুপুর ও লম্পট জুয়েয়ের স্ত্রী চম্পা দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ছুটে আসে এবং আতিয়ারের পরিবারের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
এ হামলায় আতিয়ার (৪০) ও তার ছেলে জীবন (১৬), লতিফ (৩৫) তার স্ত্রী বাসরা(৩০)ও প্রতিবেশী মজনুর স্ত্রী নাজমা হামলা ঠেকাতে সে মারাত্মক আহত হয়।
আহতদের ওই রাতেই কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে মারাত্মক আহত অবস্থায় আতিয়ার ও তার ছেলে জীবনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং অন্যান্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছিল এবং হামলাকারীরা পলাতক ছিল।