গো-খাদ্যে হিসাবে ব্যবহৃত খড়ের দাম দিন দিন হু হু করে বেড়েই চলেছে । আর দাম বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বিপাকে পড়েছে কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন খামারি ও সাধারন কৃ্ষকেরা ।
একটি গরুর পিছনে যে পরিমান অর্থ ব্যয় করে কোরবানীর সময় পাওয়া যাচ্ছে না তেমন দাম। হিসেব-নিকেষ করে তেমন লাভের মুখ না দেখলেও এককালীন কিছু টাকা পাওয়া যায় তাতেই শান্তনা পায় সাধারন খামারীরা । গরুর খাদ্যের মধ্যে অন্যতম খড়-কুটার দাম দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে এমনটাই জানালেন কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন এলাকার গরুর খামারীরা।
আজ শনিবার (১৯’সেপ্টেম্বর) জেলার বিভিন্ন খামারে ঘুরে দেখা গেছে, আগামী বছর কোরবানীর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে খামারীরা । কুষ্টিয়ার বিভিন্ন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে অসংখ্য ছোট-বড় গরুর খামার | কারো রয়েছে দুগ্ধজাত খামার আবার কেউ শুধু মাত্র ঈদ ও কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে পালন শুরু করেছেন গরু।
আর এ সকল খামারে ব্যপক হারে সংকট পড়েছে গো-খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত খড়-কুটা ।
খামারীরা জানান, খড়ের দাম গত বছরের চেয়ে এবছর বৃদ্ধি পেয়েছে চার গুন । এবছর চার গুন মূল্য দিয়ে খড় কিনতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে খামারিদের ।
বর্তমানে ১১০০ টাকা শত খড় কিনতে হচ্ছে। এই গো-খাদ্য’র দাম বৃদ্ধির কারনে সাধারন গরু লালন-পালনকারিরা পড়েছেন চরম বিপাকে । স্বল্প আয়ের সাধারন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে গো-খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত খড় ।
জানা যায়, ছাল, খুদ, গুড়া, ভুসি মালের পাশাপাশি ধানের খড় গরুর জন্য একটি উৎকৃষ্ট খাদ্য | ভুসি মালের সঙ্গে খড় কেটে ভিজিয়ে গরুকে খাওয়ানো হয় | গরুর সঠিক বৃদ্ধির জন্য এই খাদ্যের কোনো বিকল্প নেই । তাই খামার অথবা ব্যক্তিগত গরু পালনকারীদের সারা বছরের জন্য খড়ের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম ।