কুষ্টিয়া জেলার খোকসাতে তীব্র গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে । প্রখর রোদে ঘরে বাইরে কোথাও মিলছে না স্বস্তি। গরমে সবচেয়ে বেশি নাকাল হয়েছে খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষজন। শ্রমজীবী মানুষজন কাজের মধ্যে অতিরিক্ত ঘামে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। অতিরিক্ত গরমে প্রয়োজনেও ঘর থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছে মানুষজন।
তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় নাজেহাল হয়ে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। গরমের কারণে দুপুরের আগেই উপজেলা শহরের বেশিরভাগ এলাকা প্রায় ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। একটু স্বস্তির জন্য অনেকেই গাছের তলা কিংবা ঠান্ডা স্থানে বসে সময় কাটাচ্ছেন। ফ্যানের বাতাসেও গরম অনুভব হওয়ায় বিরক্তিতে ঘরে থাকা মানুষজন। এই গরমে শুধু মানুষই নয়, পশুপাখিদেরও প্রাণ ওষ্ঠাগত।
খোকসা বাস স্টান্ড এলাকার এক হোটেল শ্রমিক জানান, আমাকে চুলার পাড়ে রান্নার কাজ করতে হয়। একদিকে চুলার আগুনের গরম অন্যদিকে প্রখর রোদে ঘেমে ক্লান্ত হয়ে পড়ছি। ক্লান্তে শরীরে কাজকর্মে অনীহা আসছে। তবুও রোজগারের স্বার্থে কাজ করতে হবে। ক্লান্তি দূর করার জন্য অতিরিক্ত পানি ও স্যালাইন খাচ্ছি।
খোকসার এক কাঁচামাল ব্যবসায়ী জানান, আমি গড়াই নদীর ওপার থেকে খোকসা বাজারে এসেছি কাঁচামাল ক্রয় করতে। আমি বয়স্ক মানুষ। এতোটা পথ তীব্র গরমে পাড়ি দিয়ে শহরে এসে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। তাই গাছের তলায় ছায়ায় বসে একটু জিরিয়ে নিচ্ছি।
খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ কামরুজ্জামান সোহেল বলেন, করোনার কারনে গরম জনিত রোগের রোগীরা হাসপাতালে আসছে না। গরমে হিট স্ট্রোক রোগীদের জন্য আমাদের প্রস্তুতি নেয়া আছে। তবে মানুষজনের উচিত তীব্র গরমে প্রয়োজন ব্যতিরেকে ঘরের বাহিরে বের না হওয়া। এক্ষেত্রে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন। তাছাড়াও প্রচন্ড গরমে তরল জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এই ডাক্তার ।